
✍️ ঋষভ অর্ঘ্য রায়, পঞ্চম শ্রেণি।।
ছোটবেলা থেকেই পাখির প্রতি আমার অদ্ভুত এক ভালোবাসা। পাখির কিচিরমিচির, রঙিন পালক আর তাদের ছোট ছোট দুষ্টুমিগুলো আমাকে ভীষণ টানে। তাই একদিন বাবার কাছে জেদ করে কিনে এনেছিলাম দুটি বাজিগর পাখি। ওদের নাম রেখেছি—মিঠু ও মিতা। মিঠু একটু দুষ্টু প্রকৃতির, সারাক্ষণ কিচিরমিচির করে আর মিতা অনেকটা শান্ত ও লাজুক।
প্রতিদিন সকালবেলা কাকডাকা ভোরে মিঠু ও মিতার মিষ্টি কুজনে আমার ঘুম ভাঙে। ওদের খাঁচায় দেখে মন খারাপ হয়। খুব ইচ্ছে করে ওদের মুক্ত আকাশে উড়তে দিতে। মাঝে মাঝে মিতাকে খাঁচা থেকে বের করে ঘরে ছেড়ে দিই। তখন আমরা দু’জন খেলাধুলা করি আর আমি ওকে হাতের তালুতে বসিয়ে আদর করি।
বাবা বলেন, আমি স্কুলে গেলে পাখি দুটো খুব ডাকাডাকি করে। আর যখন বাসায় ফিরে আসি, তখন ওরা চুপচাপ হয়ে যায়—যেন ওরা আমাকে দেখে নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। আমি কখনো কখনো ইউটিউব থেকে পাখির কিচিরমিচির ছেড়ে দিই, যাতে ওরা খুশি হয় এবং সক্রিয় থাকে। সেই শব্দ শুনে ওরা যেন আনন্দে নেচে ওঠে।
মিঠু ও মিতা সব সময় একসাথে থাকলেও মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়। মিঠু রেগে গিয়ে মিতাকে ঠোকর দেয়। তবে কিছুক্ষণ পরই আবার দু’জনে একসাথে মিলে বসে, বন্ধু হয়ে যায়। তখন আমি ওদের খাবার দিই—প্রিয় দানা ও পানি।
প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে আমি নিজ হাতে ওদের যত্ন নেই। খাঁচা পরিষ্কার করি, পানি বদলাই, আর পাখিগুলোর সঙ্গে একটু সময় কাটাই। আমার এই প্রিয় পাখি দুটি আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। আমি ওদের সত্যি অনেক ভালোবাসি।