ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ো, অন্যথায় তুমি বর্ণবাদী হয়ে যাবে।
ভাববে—
তোমার চামড়ার রঙই দুনিয়ার সুন্দরতম,
তোমার মাতৃভাষাই সবচেয়ে শৈল্পিক,
তুমিই দুনিয়ার সেরা।
ভ্রমণে বেড়োও,
নইলে তোমাকে ‘শেখানো’ ভাবনার বাইরে ভাবতে পারবে না তুমি।
তোমার মনে হবে—
তোমার বিশ্বাসই একমাত্র সত্য,
তোমার পড়া সংবাদগুলোই সঠিক,
ওদের শত্রু তোমারও শত্রু।
ভ্রমণ করো, নতুবা তুমি ‘তুমি’ হয়ে উঠতে পারবে না।
তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকবে অন্যরা।
ভ্রমণ করো।
ভ্রমণ জিজ্ঞেস করতে শেখায়— “তুমি ভালো আছ?”
জাতি-সমাজ নির্বিশেষে।
ভ্রমণ শুভকামনা জানাতে শেখায়— “ভালো থেকো তুমি।”
ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে।
ভ্রমণ—
মনের অন্ধকারকে ভরিয়ে দেয় আলোয়,
জনসংখ্যাকে মানুষে রূপান্তরিত করে।
ভ্রমণ করো।
ভ্রমণ সংগ্রাম শেখায়, নির্ভরতা শেখায় না।
ভ্রমণ বন্ধুতা শেখায়, হিংসা শেখায় না।
ভ্রমণ নিজের ক্ষমতাকে চেনায়,
চেনায় অক্ষমতাকেও।
ভ্রমণ চিনতে শেখায়— ভালোবাসা,
ঘরের জন্য বুকফাঁড়া টানের অনুভূতি।
ভ্রমণ অনুভব করায়— প্রিয়জন কেবল ঘরেই থাকে না,
প্রিয়জনের সীমান্ত নেই, ভিন্ন-সংস্কৃতি নেই, একক-ধর্ম নেই।
ভ্রমণ—
সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে ওঠা শেখায়, জীবনের
বিশালতা শেখায়।
ভ্রমণ করো,
নইলে তুমি ডোবাকেই মহাসমুদ্র ভেবে কাটিয়ে দেবে অমূল্য জীবন।
জগৎ তোমারই অপেক্ষায়—
ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়ো।
ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তর— সালাহউদ্দিন আহমেদ জুয়েল
মূল লেখা- ইতালিয়ান গীতিকবি জিয়োভান্নি জিয়ানক্যাস্প্রো (জিয়জেওএলন)।
ইংরেজিতে অনুবাদ— সিসিল তরেস।