যেসব উপদেশ জীবন বদলে দেয়

আমেরিকান লেখিকা রেজিনা ব্রেট
অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তা রেজিনা ব্রেট

 

রেজিনা ব্রেট।।

(রেজিনা ব্রেট একজন আমেরিকান লেখিকা এবং মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তা। পাশাপাশি পডকাস্টার ও কলাম লেখক। বর্তমানে তিনি লেখালেখি করছেন The Cleveland Jewish News-এর জন্য। তাঁর কলামগুলো Jewish News Service-এর মাধ্যমে পরিবেশিত হয়। 
ব্রেটের প্রথম বই “God Never Blinks” (ঈশ্বর কখনো চোখের পলক ফেলেন না) ২৪টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। পোলিশ পাঠকদের জন্য ৯টি বই লিখেছেন রেজিনা ব্রেট। যেগুলোর মোট বিক্রি ৯ লাখ কপি ছাড়িয়ে গেছে।
তাঁর সর্বশেষ বই “Little Detours and Spiritual Adventures: Inspiration for Times When Life Doesn’t Go as Planned” (ছোট ছোট মোড় ও আধ্যাত্মিক অভিযাত্রা: জীবনের পরিকল্পনা অনুযায়ী না চললে অনুপ্রেরণার উৎস)

জীবন থেকে পাওয়া মূল্যবান শিক্ষা গুলো এমন কিছু, যা আমাদের প্রত্যেকেরই অন্তত সপ্তাহে একবার পড়া উচিত।

১. জীবন সবসময় ন্যায্য হয় না, তবে তারপরও এটা সুন্দর।
২. যখন সিদ্ধান্ত নিতে পারো না, তখন ছোট একটা পদক্ষেপ নাও।
৩. জীবন খুব ছোট – তাই উপভোগ করো।
৪. অসুস্থ হলে তোমার চাকরি পাশে দাঁড়াবে না, পাশে থাকবে পরিবার আর বন্ধু।
৫. প্রতি মাসে ক্রেডিট কার্ডের দেনা শোধ করো।
৬. সব তর্কে জেতা জরুরি নয়। নিজের প্রতি সৎ থাকো।
৭. কারো সঙ্গে কাঁদো – একা কাঁদার চেয়ে তা বেশি প্রশান্তিদায়ক।
৮. প্রথম বেতন থেকেই অবসরকালীন সঞ্চয় শুরু করো।
৯. চকোলেটের প্রতি দুর্বলতা স্বাভাবিক – প্রতিরোধ করতে যেয়ো না।
১০. অতীতকে মেনে নাও, যাতে তা বর্তমানকে প্রভাবিত না করে।
১১. তোমার সন্তানদের সামনে কাঁদা ঠিক আছে।
১২. অন্যের জীবনের সঙ্গে নিজের তুলনা করো না – কারো পথচলা তুমি জানো না।
১৩. সম্পর্ক লুকিয়ে রাখতে হলে, সেটা ঠিক সম্পর্ক নয়।
১৪. গভীর শ্বাস নাও – এটা মনকে শান্ত করে।
১৫. অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দাও – বাড়তি বোঝা জীবনকে ভারী করে।
১৬. যেটা তোমাকে ভাঙে না, সেটাই তোমাকে আরও শক্ত করে তোলে।
১৭. সুখী হতে কখনোই দেরি হয় না – এটা পুরোপুরি তোমার উপর নির্ভর করে।
১৮. যা ভালোবাসো, তার পেছনে লেগে থাকো – “না” শুনে থেমো না।
১৯. বিশেষ দিনের জন্য কিছু রেখে দিও না – আজই বিশেষ।
২০. বেশি প্রস্তুতি নাও, তারপর প্রবাহের সঙ্গে চলো।
২১. অদ্ভুত হও এখনই – বয়সের অপেক্ষা করো না।
২২. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘মন’ – সেখানেই সব শুরু।
২৩. তোমার সুখের দায়িত্ব একমাত্র তোমার।
২৪. প্রতিটা বিপর্যয়কে ভেবো – ৫ বছর পর এটা কি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে?”
২৫. সবসময় জীবনকেই বেছে নাও।
২৬. ক্ষমা করো, তবে ভুলে যেও না।
২৭. অন্যরা তোমার সম্পর্কে কী ভাবে, সেটা তাদের ব্যাপার – তোমার নয়।
২৮. সময় অনেক কিছু সারিয়ে তোলে – সময়কে সময় দাও।
২৯. ভালো বা খারাপ – সব পরিস্থিতিই বদলাবে।
৩০. নিজেকে খুব বেশি গুরুত্ব দিও না – কেউ দেয় না।
৩১. অলৌকিকতার উপর বিশ্বাস রাখো।
৩২. জীবন হিসাব করে কাটিও না – প্রতিটা মুহূর্তে উপস্থিত থেকো।
৩৩. বেঁচে থেকে বার্ধক্যে পৌঁছানোই সৌভাগ্য।
৩৪. তোমার সন্তানের শৈশব একটাই – সেটা উপভোগ করো।
৩৫. জীবনের শেষে আসলে একটাই ব্যাপার গুরুত্বপূর্ণ – তুমি কতটা ভালোবেসেছিলে।
৩৬. প্রতিদিন বাইরে যাও – অলৌকিকতা চারদিকে ছড়িয়ে আছে।
৩৭. যদি সবাই তার সমস্যাগুলো এক জায়গায় রাখে, তাহলে তুমি তোমারটাই ফেরত নিতে চাইবে।
৩৮. হিংসা করে সময় নষ্ট করো না – যা আছে তাইকে গ্রহণ করো।
৩৯. সামনে আরও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।
৪০. যেমনই মনে হোক, উঠে দাঁড়াও, সাজো, এবং উপস্থিত থেকো।
৪১. কখনো কখনো পথ ছেড়ে দিতে জানতে হয়।
৪২. জীবন উপহারের মতো মোড়ানো না হলেও, এটা এখনো এক অনন্য উপহার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top